এরপর থেকেই তিনি নিয়মিত শিশুটির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন।
বাসা থেকে বের হওয়ার সময় শিশুটিকে প্রায়ই ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখে যেতেন সোহেল। দিনের অধিকাংশ সময়ই শিশুটি অনাহারে থাকত।
ক্ষুধায় কাঁদলেও তাকে মারধর করা হতো। মাঝে মাঝে জুস বা চিপস কিনে দিলেও অধিকাংশ সময়ই চলত মারধর ও নির্যাতন।
দুই দিন আগে এক দোকানে শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে আসেন সোহেল। এ সময় শিশুটির দুরবস্থা দেখে এক নারী প্রশ্ন করলে তাকেও মারধর করেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে শনিবার রাতে স্থানীয়রা সোহেলের বাসার তালা ভেঙে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
চিকিৎসকরা জানান, শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
অপুষ্টি ও দীর্ঘদিনের নির্যাতনের কারণে তার শারীরিক অবস্থা বেশ নাজুক।
রোববার সকালে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা শিশুটির খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে যান এবং পরবর্তীতে তাকে নিজেদের তত্ত্বাবধানে নেন।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা সোহেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন