চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় আবদুল হাকিম চৌধুরী নামে বিএনপির এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার সঙ্গে গাড়িতে থাকা আরও এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নের মদুনাঘাট বাজারের পানি শোধনাগার মূল ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।


নিহত হাকিম রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচখাইন এলাকার মৃত আলী মদন চৌধুরীর ছেলে। তিনি বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে দলের কোনো পদে ছিলেন না। ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি রাউজানে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে হাকিম তার গ্রামের খামারবাড়ি থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে এক সহযোগীকে নিয়ে কাপ্তাই সড়ক হয়ে চট্টগ্রাম নগরের দিকে যাচ্ছিলেন। মদুনাঘাট এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা একদল অস্ত্রধারী তাদের গাড়ির পিছু নেয়। পানি শোধনাগার এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা গাড়ির লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে হাকিম ও তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক হাকিমকে মৃত ঘোষণা করেন।


উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহম্মদ বলেন, নিহত আবদুল হাকিম বিএনপির সমর্থক  একজন ব্যবসায়ী ছিলেন।হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে কাজ চলছে।


একটি সূত্র জানায়, ১৯৯১ সাল থেকে আবদুল হাকিম বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০২২ সালের দিকে আওয়ামী লীগ নেতা ও বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভূপেষ বড়ুয়ার ঘনিষ্ঠ হয়ে কিছুদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। তবে চলতি বছর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুনরায় বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে মাঠে নামেন। তিনি কর্ণফুলী এলাকায় অবৈধ বালু ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।


রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাস্থল হাটহাজারী  রাউজান থানার সীমানা এলাকায়পড়েছে। দুই থানা-পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা করছে।